মাস্টার্স কোর্স চয়েস
জার্মানিতে মাস্টার্স
· সময়- চার সেমিস্টার (দুই বছর)
জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স সম্পন্ন করতে লাগে চার সেমিস্টার (দুই বছর)
যার মধ্যে
· তিন সেমিস্টারে বিভিন্ন বিষয়ের থিওরি ও ব্যবহারিক পাঠ্যদান করা হয়।
· বাকি একটি সেমিস্টারে থাকে থিসিস।
এ ক্ষেত্রে পছন্দের নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রফেসর নির্বাচন করে তাঁর অধীনে ছয় মাসের থিসিস করে যেকোনো একটি বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান লাভ করা হয়। ভবিষ্যতে চাকরি বা ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য ওই বিষয়টিই বেছে নিতে হয়।
· থিসিস চলাকালে পারিশ্রমিক
উল্লেখ্য, থিসিস চলাকালে অনেক প্রফেসর তার শিক্ষার্থীকে পারিশ্রমিকও দিয়ে থাকেন। যার পরিমাণ শহর ও ফান্ড সিস্টেম ভেদে দুই শ থেকে নয় শ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। মাস্টার্স শেষ করে আপনি ফুলটাইম জব করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে জার্মান ভাষার দক্ষতা মোটামুটি জব ভেদে ভালো হতে হবে। এ ছাড়া ইংরেজি মাধ্যমে ফুলপেইড বা হাফপেইডে বৈজ্ঞানিক গবেষক পদে পিএইচডিও করতে পারবেন৷
মাস্টার্সের জন্য আবেদন
বাংলাদেশে যেকোনো নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের ব্যাচেলর শেষ করেই মাস্টার্সের জন্য আবেদন করা যায়৷
ব্যাচেলরের রেজাল্ট যদি ক্লাস সিস্টেম হয়, এ ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণি (ফার্স্ট ক্লাস) থাকা আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬৫% নম্বর হলে সুযোগ পাওয়া সহজ হয়। যদি গ্রেডিং সিস্টেমের রেজাল্ট হয় তাহলে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০ (৪.০) হলে চান্স পাওয়া সহজ হয়। ব্যাচেলরের পাঠদানের মাধ্যম ইংরেজি হলে এ ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা অর্জনসহ অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তারপরেও নিজে চর্চা ও IELTS স্কোর ভালো হলে এই সমস্যাটি কাটিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
মাস্টার্সের কোর্স চয়েস
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে বিষয়ে মাস্টার্স করার জন্য আবেদন করছেন তা যেন আপনার ব্যাচেলরের অধ্যায়িত বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। এর জন্য আপনি আবেদন করার আগে কোর্স কো-অর্ডিনেটরকে একটি ইমেইল করে আপনার ব্যাচেলরের অধ্যয়িত বিষয় নিয়ে একটু ধারণা দিতে পারেন। যেমন
· আপনি ব্যাচেলরে কী কী বিষয় পড়েছেন
· আপনার অর্জিত সিজিপিএ
· ওই বিভাগে আপনি মাস্টার্স করার জন্য উপযুক্ত কিনা
দেখবেন তিনি দুই-এক কর্মদিবসের মধ্যেই আপনার ইমেইলের রিপ্লাইয়ে বলে দেবেন আপনার কী কী করতে হবে বা আপনি আবেদন করার যোগ্য কিনা৷
কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়, পছন্দের বিষয় ও অন্যান্য যোগ্যতার মাপকাঠি খুঁজব?
বিশ্ববিদ্যালয়, পছন্দের বিষয় ও অন্যান্য যোগ্যতার মাপকাঠি খোঁজার ২টি ওয়ে আছে-
· Daad ওয়েবসাইট
· কোর্স কো-অর্ডিনেটর
প্রথমত, ডাড ওয়েবসাইট থেকে জানতে হলে ক্লিক করুন ।
ওয়েবসাইটের বামপাশের ঘরগুলোতে নিজের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শব্দ ইংরেজিতে বসিয়ে দিলে পছন্দের সাবজেক্টগুলো ডানপাশের ঘরে চলে আসবে ৷ যে বিষয়টি পছন্দ হবে সেখানে ক্লিক করলে বিস্তারিত সবকিছু চলে আসবে। সেখানে নিজের যোগ্যতা যাচাই করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কী চাচ্ছে, আমার কতটুকু যোগ্যতা আছে, সেই বিষয়গুলি বিস্তারিত জানা যাবে।
দ্বিতীয়ত, কোর্স কো-অর্ডিনেটরকে ইমেইল করেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
পাঠ্যদানের ভাষা
জার্মানিতে সাধারণত দুই ভাষাতে পাঠ্যদান করা হয়ে থাকে।
জার্মান ভাষা ও ইংরেজি ভাষা।
জার্মান ভাষায় পড়াশুনা
যদি কেউ জার্মান ভাষায় মাস্টার্স করতে চান সে ক্ষেত্রে ই১ পর্যন্ত ভাষা কোর্স সম্পন্ন রাখা বাধ্যতামূলক। এই কোর্সটি ঢাকা (জার্মান ভাষা শিক্ষাকেন্দ্র) থেকে করা যায়৷
ইংরেজি ভাষায় পড়াশুনা
তবে কেউ ইংরেজিতে মাস্টার্স করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ইংরেজি ভাষার সনদপত্র বিভিন্ন রকম চেয়ে থাকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় যদি দেখে শিক্ষার্থীর ব্যাচেলরের পাঠদানের মাধ্যম ইংরেজি তখন অনেক সময় আইইএলটিএস চায় না। আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস বা টোফেল-এর উচ্চ স্কোরের সঙ্গে সঙ্গে জিআরইও চায়। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে (Requirements for admission সেকশনে) যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।
আরো পড়ুন-
No comments:
Post a Comment