দ্বিচারিণী - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, December 11, 2017

দ্বিচারিণী - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


কুসুমকুমারের ডাক নাম টুলু। কলকাতার প্রত্যেকটা অলিগলি তার চেনা। নিজেকে গলিবাজ ভাবতে তার মন্দ লাগেনা। ছোটবেলা থেকেই অঙ্কে ভাল বলে ডাকনাম আছে। সেই অঙ্কের জোরেই ৮০০ টাকা মাইনের একটা চাকরিও করে। মধুসূদন বাবুর ছেলেকে অঙ্ক পড়িয়ে তার বাড়িতে থাকার জায়গাও করে নিয়েছে।

দ্বিচারিণী - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


টুলুদেরও বাড়ি ছিল নদিয়ায়। সেই বাড়ির আশা এখন ছেড়ে দেয়াই ভালো। কিভাবে কি হলো সেটা নাহয় বইটি পড়েই জানবেন। আপাতত ধরে নিন ও ভাসমান একটা ছেলে।

মধুরিমার বয়স সতেরো আঠারো। সবে মাধ্যমিক দিয়েছে। কলকাতা শহরেই থাকে। তাদের পাড়ায় নবকুমারি বলে একটা মেয়ে কিছুদিন আগে রেপ হল। এজন্যে পাড়ায় মিটিং-টিটিং হচ্ছে। পাড়ার অতনুদা মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে ক্লাসের ব্যবস্থা করলেন। মধুরিমা ও তার বান্ধবি গঙ্গা মিলে কারাটে ক্লাস করতে লাগল। দুদিন বাদেই ও বুঝতে পারল এসবে আসলে কোনও লাভ নেই। তাই কারাটে ক্লাস বাদ দিল। দুদিনের মাথায় তার নামে চিঠি এল-

কারাতে ক্লাসে কেনো আসছেন না? আমি যে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকি।

দেড় লাইনের চিঠি। নিচে নাম সই করা আছে সুজিত। ঘটনাক্রমে এই সুজিতের সঙ্গে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। ছেলে কানাডায় যাচ্ছে। মেয়েকেও বিয়ের পর নিয়ে যাবে। এরকম পাত্র পেয়ে ওর মা বাবাও খুশি। কিন্তু মধুরিমার মধ্যে সুজিতের বেপারে কোনও অনুভূতি নেই। অনেকটা এরকম যে, বিয়ে হচ্ছে বলেই হচ্ছে। অতনু দা ওদের মেডিটেশন শেখাচ্ছিল। ও একাগ্রচিত্তে মেডিটেশন করে সুজিতের প্রতি ভালবাসা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। হয়নি।

বইঃ দ্বিচারিণী
লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
প্রকাশকালঃ জানুয়ারি ২০০০
প্রকাশকঃ আনন্দ পাবলিশার্স
পৃষ্ঠাঃ ৯৫

সুজিতের প্রতি ভালবাসা তৈরি করতে গিয়ে কিভাবে টুলুর প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়ে গেল সেটা মধুরিমা নিজেও জানেনা!

এখানে কথা হল টুলুর সাথে মধুরিমার পরিচয় কেমনে হলো? একই শহরে থাকে, পরিচয় হয়ে যেতে কতক্ষন? টুলু যে বাড়িতে লজিং থাকে সে বাড়িতে মধুরিমার বাবা পূজো করে। বিশ্বকর্মাপূজোর দিন ঠাকুরমশাই না আসাতে টুলু মধুরিমাদের বাড়ি যায়।

বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়া মেয়ের সাথে কি টুলুর পরিণয় হবে? যদি হয়ও তাহলে ওদের পরিণয়ের পরিণাম কি?

ব্যক্তিগত মতামতঃ
উত্তমপুরুষে লেখা উপন্যাস। টুলু এবং মধুরিমার জবানিতে আলাদা আলাদা চ্যাপ্টার করে লেখা। শীর্ষেন্দুর অনেকগুলা বই এতদিন জমে ছিল আমার কাছে। ভেবেছিলাম উনি হয়তো ভালই লিখেন। এই বইটা পড়ে বুঝলাম আমার জমানো বৃথা যায়নি। এই বইটাই শীর্ষেন্দুর পড়া আমার প্রথম বই। সে হিসেবে শুরুটা ভালই ছিল। আপনাদেরও খারাপ লাগবেনা আশা করি।



সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার
শেল অ্যান্ড কার্নেল লিমিটেড

Post Top Ad

Responsive Ads Here