দেশ নামকরণের উৎস সন্ধান: আলবেনিয়া (ধারাবাহিক পোস্ট) - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, February 6, 2018

দেশ নামকরণের উৎস সন্ধান: আলবেনিয়া (ধারাবাহিক পোস্ট)

বাংলা ভাষায় এডুটেইনমেন্ট ও তথ্যমূলক  অনলাইন প্লাটফর্ম ইনফোক্রাঞ্চবিডি ডট ব্লগস্পট ডট কম। আমরা পৃথিবীর সকল দেশের নামকরণের উৎস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করবো।ইন্টারনেট ও বই-পত্র ঘেঁটে সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য চমকপ্রদ ঘটনা ও প্রাসঙ্গিক তথ্য সংবলিত এসব আর্টিকেল লিখে যাচ্ছেন মাহবুব রিয়াদ। এই পর্বে থাকছে আলবেনিয়া নামের উৎস সন্ধান।



ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্বের দেশ আলবেনিয়া। এর প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হলো রাজধানী তিরানা। ১৯১২ সালের ২৮ নভেম্বর অটোমান সাম্রাজ্য (ওসমানীয় সাম্রাজ্য) থেকে স্বাধীনতা লাভ করে দেশটি।

“আলবেনিয়া” পরিভাষাটি মধ্যযুগীয় ল্যাটিন ভাষা হতে আগত। বর্তমান আলবেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান সমুদ্র বন্দর হলো দারিস। আলেকজান্দ্রিয়ার জগদ্বিখ্যাত জৌতির্বিদ টলেমির ১৫০ AD-তে অঙ্কিত ইউরোপের মানচিত্রে অ্যালবানোপোলিস শহরটি দারিসের উত্তর-পূর্বে ছিল। এ থেকে ধারণা করা হয় যে, “আলবেনিয়া” শব্দটি ইলাইবিয়ার উপজাতি সম্প্রদায় আলবানি থেকে এসেছে। টলেমি তাঁর লেখায় এদেরকে অ্যালবানোপোলিস এর বাসিন্দা বলে উল্লেখ করেন যা বর্তমান যুগের আলবেনিয়া। 

তবে মধ্যযুগীয় বাইজেনটাইনের “অ্যালবানন” বা “আরবানন” থেকে ধারাবাহিকভাবে এ পরিভাষাটির উৎপত্তি বলে কেউ কেউ ধারণা করেন। তবে তা একেবারে নিশ্চিত নয় যে ওই স্থানটিই এখনকার দেশটি।

বাইজান্টাইনের সরকারি কর্মচারি ও ইতিহাসবিদ মাইকেল আটালিয়াটেস ১০ম শতাব্দীতে তার লেখা গ্রন্থে লিখেন যে, ১০৪৩ সালে আলবেনিয়ানরা কনস্টানটিপোলের বিরুদ্ধে ডিউক অব দাইরাশিয়ামের হয়ে বিদ্রোহ করে। এ থেকেও তাদের দেশের নামকরনের একটি ধারণা পাওয়া যায়।

মধ্যযুগে আলবেনিয়ানরা তাদের দেশকে “আরবেরি” বা “আরবেরশি” বলতেন। “আরবেনশি” হলো ইতালিতে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিসত্তা।

অটোমান তার্কিশরা আলবেনিয়াকে “আরনাভুটলুক” বা “আলবেনিয়ার ভূমি” নামে ডাকত।

বর্তমানে তারা তাদের দেশকে “শিপারি”(Shqiperi) বা “শিপেরিয়া”(Shqiperia) বলে অভিহিত করেন। এই শব্দদ্বয় “আরবেরিয়া” ও “আরবেরেশ” এর প্রতিস্থাপিত রূপ। শব্দদ্বয়ের অর্থ হলো যথাক্রমে “ইগলের ভূমি” এবং “ইগলের শিশু”।


আরো পড়ুনঃ


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here