বিলুপ্ত প্রায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘ঢেঁকি’ - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Sunday, January 28, 2018

বিলুপ্ত প্রায় বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘ঢেঁকি’

সময়ের আবর্তনে আর আধুনিকতার বিষাক্ত ছোবলে ক্রমাগত হারাতে বসেছে আমাদের বহু গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। কুলা-ঢালা, গাইল-ছিয়া থেকে শুরু করে লাল-সবুজ রঙের কাগজ দিয়ে ঘুড়ি উড়ানো কিংবা গরুর হাল, লাঙল, মই, জোয়াল সবই আজ ক্যালেন্ডারের ছবি ছাড়া আর কিছু নয়। অথচ এসব উপকরণ একসময়ে বাংলার প্রতিটি ঘরে থাকাটা ছিলো অপরিহার্য। 

কৃষকের ঘরে গরুর হাল লাঙল, মই থাকাটা ছিলো স্বাভাবিক না থাকলে তাকে কৃষক ভাবা-ই যেত না। সে রকম একটি উপকরণ হলো ঢেঁকি যা ষাট বা সত্তরের দশকে গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরেই ছিল অপরিহার্য একটি উপাদান। 

ঢেঁকি ছিল না এমন বাড়ি বা সংসার আছে এমনটা সে সময় কল্পনা-ই করা যেত না। কৃষক মাঠ থেকে ধান কেটে আনতো। সেই ধান মাড়িয়ে সিদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে ঢেঁকিতে পাড় দিয়ে চাল বানানো হতো। তারপর সেই চালে রান্না হতো। তখন চাল ভাঙানোর কোন ধরনের মেশিন ছিল না। ঢেঁকি ছিল একমাত্র ভরসা। আলাদা একটি ঘরই থাকতো গৃহস্থের বাড়িতে যা ঢেঁকিঘর নামেই পরিচিত থাকতো। কালের বিবর্তনে তা এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। বলা যায় হারিয়ে গেছে। কি বন্ধুরা চোখ কপালে তুললে নাকি? এই ঢেঁকি শব্দের সাথে তোমাদের কি পরিচয় হয়েছিলো? বা আছে? হয়তো আছে, কোন একরাতে দাদুর সেই গল্প বা কিচ্ছা বলার বিষয় ছিলো ঢেঁকি। দাদুর সেই দুর্দান্ত বয়সের স্মৃতিচারণ ঢেঁকি বিষয়ক গল্প হয়তো আজ মনে পড়ছে। হয়তো কারো কল্পনাতেই ঢেঁকি নামক বস্তুর অস্তিত্ব বলতে যা বোঝায় তার ছিটেফোঁটাও নেই। থাক বা না থাক, সে যায় আসে না।

ঢেঁকি কী? ঢেঁকির ধরন এবং ব্যবহার


সাধারণত ছয় বা সাত হাত লম্বা, ও এক হাত বা তার কিছু কম চওড়া একখন্ড গাছকে ঢেঁকি হিসাবে তৈরি করে তা ব্যবহার করা হয়। সেই গাছ খন্ডের এক হাত বা তার চেয়ে কিছু বেশি অংশে ছিদ্র করে বসানো হয় একটি কাঠের লম্বা টুকরা, যার নাম মোনাই বা চুরনি। মোনাইয়ের ঠিক মাথায় বসানো হয় লোহার একটি গোলাকার পাত, যার নাম হয় গুলো। ধান রাখার জন্য গোলাকার ভাবে মাটি খুঁড়ে তৈরি করা হয় একটি গর্ত। যার নাম নোট। নোটের নিচের অংশে বসানো হয় এক টুকরা গাছের গোড়া, যাকে বলা হতো গইড়া। কেউ কেউ আবার কাঠের পরিবর্তে ব্যবহার করতো শিল বা পাথর। ঢেঁকির শেষ অংশে দেড় হাত বাদ দিয়ে আরো এক বা দুই খন্ড কাঠ বসানো হয় ঠিক খাড়া করে, যার নাম কাতলা। ঢেঁকিতে আড়াআড়ি ছিদ্র করে তার ভেতর ঢোকানো হয় একখন্ড কাঠ, যাকে বলা হতো গোঁজা বা আইসস্যাল। সেই গোঁজা বসানো হতো কাতলার ওপর। পেছনে মাটি উঁচু করে বানানো হয় একটি গোদা। সেই গোদার ওপর দাঁড়িয়ে ঢেঁকিতে পা দিয়ে চাপ দিলে ঢেঁকি ওপরে উঠে আবার ছেড়ে দিলে তা দ্রুত নিচে নামে। সাধারণত ২-৩ জন মহিলা এ ঢেঁকি নামক যন্ত্রে কাজ করেন। ১-২ জন ঢেঁকি উত্তোলনের জন্য গোদার ওপর দাঁড়িয়ে ঢেঁকিতে পা দিয়ে চাপ দিয়ে থাকেন এবং পা সরিয়ে নিয়ে তাকে আবার নিচে পড়তে দেন। অপর মহিলা বৃত্তাকার গর্ত থেকে চূর্ণীকৃত শস্য সরিয়ে নেন এবং তাতে নতুন শস্য সরবরাহ করেন। ঢেঁকিতে পাড় দেয়ার কাজ খুবই শ্রমসাপেক্ষ। কাজটিতে মহিলাগণ একে অপরের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু কোনো কোনো সময় একজন মহিলা সম্পূর্ণ কাজটি একাই করে থাকেন। পরিশ্রম লাঘব করার জন্য এ কাজে নিয়োজিত মহিলাগণ পান-সুপারি মুখে পুরে নিজেকে চাঙ্গা করে তুলেন আবার কখনো কখনো মনের অজান্তে সুর তুলেন নানা রকম গানে। সে ধরনের বিখ্যাত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:

‘ও বউ ধান ভানোরে
ঢেঁকিতে পাড় দিয়া
ঢেঁকি নাচে, বউ নাচে,
হেলিয়া দুলিয়া
ও বউ ধান ভানোরে.’

ঢেঁকির সেকাল এবং একাল


সময়ের স্রোতে হাল ধরতে না পেরে আমাদের গ্রামীণ অনেক ঐতিহ্য আজ তার অস্তিত্ব রক্ষায় হুমকির সম্মুখীন। ঢেঁকি তাদের মধ্যে অন্যতম। বছর বিশেক আগেও বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহস্থের ঘরে একটি ঢেঁকিঘর থাকত। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি কৃষক পরিবারেই ঢেঁকি থাকা ছিলো স্বাভাবিক। ঢেঁকি ছাড়া কোন গৃহস্থের বাড়ির কৃষি শিল্পের অঙ্গন ছিল অপূর্ণ। মাঠভরা ফসল, গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ আর ঢেঁকিশালে ঢেঁকি ছিল গৃহস্থের ঐতিহ্যগত রূপ ও সে ঐতিহ্যের বাহারি উপকরণ। মানুষের আচার-অনুষ্ঠানের অহঙ্কার ছিল ঢেঁকিতে ধান ভানার দাম্ভিকতা নিয়ে। সুখ-দুঃখের অনেক কাহিনীর অবতারণা আছে এই ঢেঁকিকে ঘিরে। সে সময়টায় এই ঢেঁকির কত কদর ছিলো, তা কি ভাবা যায়! গ্রামে ঢেঁকিওয়ালা পরিবারের ছিলো একটা আলাদা ইমেজ। ঢেঁকিকে ঘিরে সুখ দুঃখের কত কাহিনী রচিত হয়েছে তা বলাই মুশকিল। পরিবারের কৃষাণীরা সে সময় দৈনন্দিন ধান, গম ও জব ভাঙার কাজ ঢেঁকিতেই করতেন। পাশাপাশি চিঁড়া তৈরির মত কঠিন কাজও ওই ঢেঁকিতেই করা হতো। বিশেষ করে শবে বরাত, শবেকদর, ঈদ, নবান্ন উৎসব এবং পৌষ পার্বণসহ বিশেষ বিশেষ দিনে পিঠা-পুলি খাওয়ার জন্য অধিকাংশ বাড়িতেই ঢেঁকিতে চালের আটা বা গুঁড়ি তৈরি করা হতো। বউ ঝি-রা গোলবেঁধে এসব আটা বা গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করতেন মজার মজার নানা রকম পিঠা, সন্দেশ, রুটি ইত্যাদি। বধূদের ধান ভাঙানোর গান আর ঢেঁকির ছন্দময় ধাপুর-ধুপুর শব্দে একটি আলাদা পরিবেশের আবহ সৃষ্টি হতো যা ছিলো চমৎকার ও নির্মল। দূর দূরান্ত থেকে নিকটাআত্মীয়রা আসতেন নাওয়রি হিসেবে। ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকতেনও সপ্তাহ দশ দিন। বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চাদের আনন্দের সীমা থাকতো না একটা হইচই লেগেই থাকতো সারা বাড়িতে। মাছে ভাতে বাঙালির ঘরে আজ আর সে নবান্ন নেই, নেই সেই উৎসবও। এ ধরনের অনুষ্ঠান বা উৎসব আজ আর হয় না ঘটা করে। যে উৎসবের প্রতিপাদ্যটাই ছিল মাটির গন্ধ মাখা ধান আর প্রাণখোলা হাসির উল্লাস। হারিয়ে গেছে সেই ঢেঁকিছাঁটা ধানের চালের ভাত আর সুস্বাদু পিঠার আয়োজন। রাতের পর রাত জেগে শরীরটাকে ঘামে ভিজিয়ে ঢেঁকিতে ধান ভানার পর তৃপ্তির ঢেঁকুর আজ কোমায় চলে গেছে। সেই ঢেঁকি, অতীতের বুদ্ধির ঢেঁকির এখন প্রস্থান ঘটেছে। তার জায়গা দখল নিয়েছে অন্য কিছু। দিন যতই যাচ্ছে ঢেঁকিও টা-টা দিচ্ছে গৃহস্থের কর্মব্যস্ত সংসার থেকে। কালের প্রবাহে এবং যন্ত্র- মেশিনের আগমনে ঢেঁকি শিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তই বলা চলে। সময়ের হাওয়ায় তাল রেখে সেই স্থানে সমবেত হয়েছে কল ও কলের মেশিন। যার বদৌলতে নিমিষেই সাধন হয় অনেক কঠিন কাজ। আগে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হতো কোন কাজে, সেখানে তা কয়েক মিনিটেই সমাধান। বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রা আমাদের একদিকে যেমন সুখী করেছে ঠিক তেমনি অলসও করেছে। 

ঢেঁকিছাঁটা শ্বেতসার ও ভিটামিন সমৃদ্ধ লাল চালের পরিবর্তে এখন আমরা পাচ্ছি মেশিনে কাটা চিকন চাল, যা কিনা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এবং রোগজীবাণুর উপসর্গও বটে। তবে আমরা এ কথা বলতে পারি, প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মানুষের যে অব্যাহত চাপ তা ঢেঁকি শিল্পের বিলুপ্তি ও কলের আবির্ভাবের জন্যও একটি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। বিজ্ঞানের আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ যখন কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভোগ উপযোগ অন্বেষণ করে সুস্থ জীবন অতিবাহিত করতো, তখন ঢেঁকির বিদায় যাত্রায় সে পরিশ্রম না থাকায় মানুষ অলস বিলাসিতায় জরা ও অসুস্থতাকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে। যার ভূরিভূরি প্রমাণ আমাদের চোখের সামনে। নানা প্রকার রোগে আজ আমরা জর্জরিত। অতি আরামে মানুষ আজ নিজেকে অসুস্থ বানিয়েছে। শরীর নেড়ে কাজ করার মানসিকতা আজ উধাও। তাই আমরা ক্রমাগতভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখছি অতি সাবধানে। মোটতাজা শরীরটা আজ আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাধার প্রাচীর গড়ে দিচ্ছে। অলস শরীর যেমন পরিবারের জন্য বোঝা ঠিক তেমনি তা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকারক। তাই দেখা যাচ্ছে আমরা প্রতিনিয়তো নিজেকে একজন বেকার নির্বোধ এবং অসুস্থ হিসেবে তুলে ধরছি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে। যা কোনোভাবেই কাম্য ছিলো না।

ঢেঁকিকেন্দ্রিক উপার্জন


ঢেঁকিকেন্দ্রিক উপার্জন করা ছিলো সে সময়ে দারিদ্র্য পরিবারের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম। বিশেষ করে গ্রামের দারিদ্র্য কৃষাণীরা এ কাজে নিয়োজিত থাকতো। গ্রামাঞ্চলের অভাবগ্রস্ত গরিব অসহায় কৃষাণীরা ঢেঁকি পাড় দিয়ে ধান-চাল ভানার বা গুঁড়ো কোটার মাধ্যমে শ্রুম বিক্রি করে উপার্জনের প্রধান উপকরণ ছিল এই ঢেঁকি। কৃষকের বাড়ির ধান ভানার শব্দ জানান দিত নতুন ফসল ঘরে উঠছে। আবার বিত্তশালী লোকদের বাড়ি বাড়ি যখন নতুন ধান উঠতো তখন অসহায় অভাবগ্রস্ত মহিলাদের চোখে মুখে একটি তৃপ্তির ঝিলিক মারতো। অভাব অনটনের সংসারে আয়ের একটি ক্ষেত্র বের হলো বুঝি। বউ-ঝিরা পালা করে সেই গৃহস্থবাড়ির বিত্তশালী গিন্নির সাথে নিয়মিত একটি যোগাযোগ বজায় রেখে চলতেন। একসময় কাজটি বাগিয়ে নিতেনও বটে। তারা পালা করে ঢেঁকিতে ধান ছেঁটে চাল বানিয়ে দিতেন। তাদের গতরখাটা শ্রমে যা পেতেন তা দিয়েই তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চলাতেন সুন্দর করে। শুধু কি তাই, এই ঢেঁকিকে কেন্দ্র করে গ্রামের বিত্তশালী মহিলারা প্রতিবেশী কত অসহায় মানুষের সহযোগিতা করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখতো। দারিদ্র্য প্রতিবেশীরা নিজেদের পরিবারের দুঃখ-কষ্টের কথা অপকটে বলতেন এসব বিত্তশালী মহিলাদের কাছে, তাদের দুঃখ কথা শুনে তাঁরা তাদের চাল, ডাল, টাকা-পয়সা এমনকি পান-সুপারি দিয়েও এসব দরিদ্র পরিবারের দুঃখ-সুখের অংশীদার হতেন। অর্থাৎ একটা ভালোবাসার নিবিড় টান ছিলো একে অপরের প্রতি। এখানে ছোট-বড় বা ধনী-গরিব বড় কথা ছিলো না মনুষ্যত্ববোধই ছিলো বড়। যা এখন কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। বিত্তশালী এমন মা- বোনদের মনুষ্যত্ব আর উদারতার কথা আজও শোনা যায় গ্রামের অভাবগ্রস্ত অনেক মহিলার মুখে মুখে।

এক সময়ের দুর্দান্ত প্রতাপশালী ঢেঁকি আজ প্রায় বিলুপ্ত। গৃহস্থবাড়িতে ঢেঁকির সেই ধাপুস-ধুপুস শব্দ আর কানে বাজে না। শুনা যায় না চিকন কণ্ঠের সেই সুর- “ও বউ ধান ভানোরে / ঢেঁকিতে পাড় দিয়া।” সে গানও আজ কলেরগানে সীমাবদ্ধ। দশ গ্রাম হেঁটেও একটি ঢেঁকির দর্শন লাভ করা ভাগ্যের ব্যাপারও বটে। ঢেঁকির সেই সোনালি যুগ আজ ইতিহাসের কালো অক্ষরে বন্দি। ইচ্ছে করলেই আর সেই যুগে ফিরে যাওয়া যাবে না। ঢেঁকিও কোন দিন তার সেদিনের জৌলুস সবার কাছে আর মেলে ধরতে পারবে না। আমাদের এ প্রজন্ম হয়তো এই ঢেঁকি নামক যন্ত্র কল্পনাতেও আনতে হিমশিম খাবে। ঢেঁকি নামক এই নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ গ্রাম বাংলায় ছিল, তা আর কেউ জানতেই পারবে না। কালের স্রোতে হারিয়ে যাবে ‘ঢেঁকি’ নামের এই নিত্যব্যবহার্য উপকরণ। সত্যি কথা বলতে গেলে ঢেঁকির কথা আজ রূপকথার গল্পের মতো করে শোনাতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মকে। আর শিশুরা হয়তো ঢেঁকির অবয়ব দেখবে সংরক্ষিত কোন এক জাদুঘরে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যে জাদুঘরের সদর দরজা ভেদ করে ঢেঁকি আশ্রয় নেবে তার আপন ঠিকানায়।


লিখেছেন - আবদাল মাহবুব কোরেশী

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here