সুশান্ত পালের পরামর্শ সিরিজ - ৪ | ইংরেজিতে ভালো করতে হলে... - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Tuesday, January 30, 2018

সুশান্ত পালের পরামর্শ সিরিজ - ৪ | ইংরেজিতে ভালো করতে হলে...

৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় প্রথম সুশান্ত পালের বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ।



ইংরেজিতে ভালো করতে হলে...




বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করা মূলত চারটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে—ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলা৷ কোনো কোনো বিভাগে পরীক্ষার্থীরা সাধারণত কম নম্বর পায়, কিন্তু বেশি নম্বরও তোলা সম্ভব, সেগুলো নির্ধারণ করুন এবং নিজেকে ওই বিভাগগুলোর জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করুন। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোটস, সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ, ব্যাকরণ ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন৷ নোট করে পড়ার বিশেষ কোনো প্রয়োজন নেই৷ এতটা সময় পাবেন না৷ বরং কোন প্রশ্নটা কোন সোর্স থেকে পড়ছেন, সেটা লিখে রাখুন রিভিশন দেওয়ার সময় কাজে লাগবে। 

ইংরেজিতে ভালো করার মূলমন্ত্র দুটি। 
  • এক. বানান ভুল করা যাবে না।
  •  দুই. গ্রামারে ভুল করা যাবে না। 

এই দুটি ব্যাপার মাথায় রেখে একেবারে সহজ ভাষায় লিখে যান, মার্কস আসবেই।

ইংরেজি পার্ট-এ

রিডিং কম্প্রিহেনশন: 

) একটা আনসিন প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। এটা সাম্প্রতিক বিষয়ের ওপর হতে পারে। বেশি বেশি করে ইংরেজি পত্রিকার আর্টিকেলগুলো পড়বেন, সঙ্গে অবশ্যই সম্পাদকীয়। এটা লিখিত পরীক্ষার অন্যান্য বিষয়েও কাজে লাগবে। কম্প্রিহেনশনের উত্তর দেওয়ার সহজ বুদ্ধি হলো, প্যাসেজটা আগে না পড়ে প্রশ্নগুলো আগে পড়ে ফেলা, অন্তত তিনবার। প্রশ্নে কী জানতে চেয়েছে, সেই কিওয়ার্ডটা কিংবা কিফ্রেশটা খুঁজে বের করে আন্ডারলাইন করুন। এরপর প্যাসেজটা খুব দ্রুত পড়ে বের করে ফেলতে হবে উত্তরটা কোথায় কোথায় আছে। একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন। প্যাসেজ পড়ার সময় প্যাসেজের ডিফিকাল্ট ওয়ার্ড কিংবা ইডিয়মের অর্থ খুঁজতে যাবেন না। এসব দেওয়াই হয় পরীক্ষার্থীর সময় নষ্ট করার জন্য। এরপর নিজের মতো করে প্রশ্নের উত্তর করে ফেলুন। এই অংশটি আইএলটিএসের রিডিং পার্টের টেকনিকগুলো অনুসরণ করে প্র্যাকটিস করলে খুব ভালো হয়। বাজারের রিডিংয়ের বই কিনে পড়া শুরু করুন।

বি) গ্রামার ও ইউসেজের ওপর প্রশ্ন আসবে। কয়েকটি গাইড বই থেকে প্রচুর প্র্যাকটিস করুন। অক্সফোর্ড অ্যাডভান্সড লার্নারস ডিকশনারি, লংম্যান ডিকশনারি অব কনটেম্পোরারি ইংলিশ, মাইকেল সোয়ানের প্র্যাকটিক্যাল ইংলিশ ইউসেজ, রেইমন্ড মারফির ইংলিশ গ্রামার ইন ইউজসহ আরও কিছু প্রামাণ্য বই হাতের কাছে রাখবেন। এসব বই কষ্ট করে উল্টেপাল্টে উত্তর খোঁজার অভ্যাস করুন, অনেক কাজে দেবে। যেমন এনট্রাস্ট শব্দটির পর ‘টু’ হয়, আবার ‘উইথ’ও হয়। ডিকশনারির উদাহরণ দেখে এটা লিখে লিখে শিখলে ভুলে যাওয়ার কথা না। 

সামারি: একটা প্যাসেজ দেওয়া থাকবে। ওটা ভালোভাবে অন্তত পাঁচবার খুব দ্রুত পড়বেন। পড়ার সময় কঠিন শব্দ দেখে ভয় পাবেন না। কঠিন অংশগুলোতে সাধারণত মূল কথা দেওয়া থাকে না। মূল কথা কোথায় কোথায় আছে, দাগিয়ে ফেলুন। পুরো প্যাসেজটাকে তিন-চারটি ভাগে ভাগ করে ফেলুন। এরপর প্রতিটি ভাগের কয়েকটি বাক্যকে একটি করে বাক্যে লিখুন। প্যাসেজ থেকে হুবহু তুলে দেবেন না। একটু এদিক-ওদিক করে নিজের মতো করে লিখুন। এখানে উদাহরণ-উদ্ধৃতি দেবেন না। ভালো কথা, শুরুতেই সামারির টাইটেল দিতে ভুলবেন না। এই অংশের জন্য নিয়মিত পেপারের সম্পাদকীয় আর আর্টিকেল সামারাইজ করার চেষ্টা করুন। 

লেটার: একটা প্যাসেজ কিংবা একটা স্টেটমেন্ট দেওয়া থাকবে। সেটির ওপর ভিত্তি করে কোনো একটি ইস্যু নিয়ে পত্রিকার সম্পাদক বরাবর একটি পত্র লিখতে হবে। এই অংশের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নিয়মিত পত্রিকার লেটার টু দি এডিটর অংশটি পড়ুন, সঙ্গে কিছু গাইড বই। লেটার অংশে নিয়মকানুনের ওপর মার্কস বরাদ্দ থাকে। লেটারের ভাষা হবে খুব ফরমাল।

ইংরেজি পার্ট-বি

এসে বা রচনা: নির্দিষ্ট শব্দসংখ্যার মধ্যে একটি রচনা লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখুন৷ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার কলাম ও সম্পাদকীয়, ইন্টারনেট, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা, বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে উদ্ধৃতি দিলে মার্কস বাড়বে৷ এই অংশগুলো লিখতে নীল কালি ব্যবহার করলে সহজে পরীক্ষকের চোখে পড়বে৷ কোটেশন ছাড়া রচনা লেখার চিন্তাও মাথায় আনবেন না। এসে কমন পড়বে না, এটা মাথায় রেখে সাজেশন রেডি করে প্রস্তুতি নিন। নিজের মতো করে সহজ ভাষায় বিভিন্ন টপিক নিয়ে ননস্টপ লেখার প্র্যাকটিস করুন। 


অনুবাদ নিয়ে গত সংখ্যায় বাংলার প্রস্তুতি অংশে বলেছি। ওটাই একইভাবে ইংরেজির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here