বিশাল বপুধারীদের কুস্তি খেলা - সুমো - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, December 29, 2017

বিশাল বপুধারীদের কুস্তি খেলা - সুমো

স্থূল আকৃতির বেশ কিছু মানুষ এক ধরণের বিশেষ কাপড় পরে একে অপরকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে – সুমো সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষের ধারণা এতোটুকুই। তবে বাস্তবতা হলো এই খেলার আছে শত শত বছরের ঐতিহ্য এবং মজার ইতিহাস। ক্রিকেট ফুটবলের মতো জনপ্রিয় না হলেও এই খেলার খেলোয়াড়দের যে কম কষ্ট করতে হয় না তা স্বীকার করতেই হয়!

জাপানে উৎপত্তি হওয়া এই বিশেষ ধরনের কুস্তি খেলাটি ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছে তা বলা মুশকিল, কারণ অনেক আগে Shinto আচার-অনুষ্ঠানের সাথে এটি জড়িত ছিল। তবে ধারণা করা হয় যে ১৬শ শতাব্দী থেকে একটি নির্দিষ্ট আকারের রিং এর মাঝে এই খেলা শুরু হয়। জাপানের আশেপাশের দেশগুলোতেও সুমো এর সাদৃশ্যপূর্ণ খেলা দেখা যায়, যেমন – মঙ্গোলিয়ান রেসলিং, চাইনিজ শুয়াই ঝিয়াও ইত্যাদি।
বিশাল বপুধারীদের কুস্তি খেলা - সুমো

সুমো খেলার সময় রেসলারকে একটি গোল আকৃতির রিংয়ে প্রবেশ করতে হয়। এই রিংয়ের নাম ডহয়ো আর এটি প্রায় ৪.৫৫ মিটার ব্যাসের। সুমো রেসলারদেরকে সাধারণত রিকিশি বলা হয়। দুইজন রিকিশি ডহয়োর ভেতরে মুখোমুখি হয়। 

ম্যাচ জেতার মূলত ২ টি নিয়ম আছে –  প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে রিং এর বাইরে ফেলতে হবে অথবা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ের পাতা বাদে শরীরের অন্য কোন অংশ মাটির সাথে স্পর্শ করাতে হবে।

সুমো খেলায় মোট ৬ টি বিভাগ আছে। এদের মধ্যে মাকুচি সবচেয়ে জনপ্রিয়। মাকুচিতে সর্বোচ্চ ৪২ জন রেসলার অংশ নিতে পারেন। নতুন সুমো রেসলাররা সবচেয়ে নিচের বিভাগ জোনোকুচি থেকে অংশগ্রহন করে এবং নিজের যোগ্যতা প্রমান করে ধাপে ধাপে সেরা বিভাগ মাকুচিতে অংশগ্রহনের সুযোগ পায়।

সুমো রেসলারদের মাঝেও র‍্যাঙ্কিং রয়েছে। সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিং হলো ইয়োকোজুনা বা গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়নস। একজন ইয়োকোজুনা নিয়মিত টপ ডিভিশনের টুর্নামেন্ট জিতবে এইটাই আশা করা হয়, তাই এই পদবীতে প্রমোশন পাওয়া খুবই কঠিন। একই সঙ্গে একাধিক রেসলারও “ ইয়োকোজুনা ” পদবী পেতে পারে। জাপানি নন এমন সুমো রেসলারদেরকে বলা হয় গাইজিন। 

একটি সুমো ম্যাচ মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই শেষ হয়ে যেতে পারে। বড়জোর কয়েক মিনিট লাগে। এছাড়া সুমোর নিয়মও সহজ সরল। তবে তার মানে এই না যে সুমো রেসলারদের জীবন খুব আরামদায়ক। একজন সুমো রেসলারকে কঠোর নিয়মকানুনের মাঝে থাকতে হয়। ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায় রেসলারকে একটি ট্রেনিং ক্যাম্পে থাকতে হয় যাকে বলা হয় স্টেবল। তাদেরকে সর্বদা বিভিন্ন জাপানিজ ঐতিহ্য মেনে চলতে হয় এবং নিজের শক্তি ও ব্যালেন্স বজায় রাখার জন্য কঠোর ট্রেনিং করতে হয়। সেই সাথে চলে ডায়েট কন্ট্রোল। সাধারণত ডায়েট বলতে আমরা বুঝি কম খেয়ে চিকন থাকা, তবে সুমোদের ডায়েট কন্ট্রোল হলো নিজের ওজন আরো বাড়ানোর প্রক্রিয়া। যেহেতু সুমো রেসলিংয়ে বিভিন্ন ওজনের জন্য আলাদা বিভাগ নেই, তাই এই খেলায় যার ওজন যত বেশি হবে সে ততো বেশি সুবিধা পাবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here