সাইকো - রবার্ট ব্লচ - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Monday, December 4, 2017

সাইকো - রবার্ট ব্লচ


নরমান বেটস বাড়ি থেকে একদমই বের হন না। অনেকটা নন্দ দুলালের মত। কি দরকার বাইরে যাওয়ার? বাইরে অনেক কোলাহল, অনেক ঝামেলা। নিজের মায়ের সাথে সারাদিন বাড়িতেই থাকেন, প্রচুর বই পড়েন, বেশিরভাগই মনস্তাত্ত্বিক বই।৪০ বছর বয়সেও এখনও মায়ের খোকা ভাবেন নিজেকে। তার মা ও তাকে আগলে রাখে একদম একটা বাচ্চা ছেলের মত। আসলে নরমান যে কখনও বাইরে যেতে চায়না, কারও সাথে মিশতে চায়না সেটা তার মায়ের জন্যেই। মা ছাড়া একদম অচল নরমান বেটস। মা-বেটা দুজন মিলে একটা মোটেল চালান, যেটা বাড়ির সীমানাতেই।


সাইকো - রবার্ট ব্লচ
সাইকো - রবার্ট ব্লচ

বাবা মারা যাওয়ার পর মেরি ক্রেন অকুল পাথারে পরে। মা এবং একমাত্র ছোটবোন লিলির দায়িত্ব এসে পড়ে তার ঘারে। একটা অফিসে চাকরি করে কোনও রকমে সংসার চালায়। কিছুদিন পর মা ও মারা গেলে একদমই ভেঙ্গে পড়ে মেরি। তখন লিলি পরামর্শ দেয় কিছুদিনের জন্য কোথাও বেড়িয়ে আসতে। লিলি তখন একটা চাকরি তে ঢুকে। লিলির কথামত জাহাজে করে বের হয়ে পড়ে মেরি বেড়ানোর জন্য, নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য। জাহাজেই স্যাম নামে এক লোকের সাথে ওর সখ্যতা গড়ে উঠে। জাহাজে থাকতে থাকতেই ওদের মধ্যে প্রেম হয়। মেরি স্যামকে বিয়ের কথা বললে স্যাম জানায়, ওর ঘাড়ে বাবার রেখে যাওয়া ঋনের বোঝা আছে, সেগুলা শোধ করতে আরও বছর দুয়েক লাগবে। স্যাম অনুরোধ করে মেরিকে বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে।
মেরি আবার চাকরিতে জয়েন করে চাকরি করতে থাকে। কিন্তু ও আসলে মনে মনে আর অপেক্ষা করতে পারছিল না স্যাম এর জন্যে। তাই একদিন অফিসের ৪০ হাজার ডলার চুরি করে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে স্যাম এর উদ্দেশ্যে। মেরির বাড়ি থেকে স্যাম এর ওখানে যেতে প্রায় ১৮ ঘন্টা লাগে গাড়ি চালিয়ে যেতে। যখন স্যাম এর বাড়ি আর ২০ কি.মি. দূর, তখন ভাবে এরকম ক্লান্ত শরীর নিয়ে স্যামের সাথে দেখা করা ঠিক হবেনা। ওকে এই অবস্থায় দেখলে স্যাম হয়তো টের পেয়ে যাবে টাকা চুরির বেপারটা। সিদ্ধান্ত নেয় একটা মোটেলে রাত কাটিয়ে, সকালে ফ্রেশভাবে দেখা করবে স্যাম এর সাথে।
মেরি তখন নরমান বেটস এর মোটেলে উঠে। রাতে খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকাতে সে রাতে নরমানের সাথেই ডিনার করে। নরমানের মা অবশ্য বেপারটা পছন্দ করেনা। সপ্তাহখানেক পর মেরির অফিস থেকে ভাড়া করা এক গোয়েন্দা মেরির খোজ করতে করতে স্যাম এর এখানে আসে, এদিকে সেদিনই মেরির ছোট বোন লিলিও স্যাম এর ওখানে আসে মেরির খোঁজ করতে।পরদিন ঐ গোয়েন্দা নরমান এর মোটেলে যায়। মোটেল থেকে একবার ফোন করে স্যাম কে জানায় যে মেরি এই মোটেলেই উঠেছিল।এই মোটেলের পর থেকে মেরির আর কোনও ট্রেস পাওয়া যায়নি। পরদিন থেকে ঐ গোয়েন্দারও আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়না।
পুলিশ কোনও কেস না নেয়াতে স্যাম আর লিলি স্বামী-স্ত্রী সেজে ঐ মোটেলে যায়। তারপর ওরা যেটা আবিষ্কার করে সেটা শ্বাসরুদ্ধকর।




কন্ট্রিবিউটর

মাসুম আহমেদ আদি
সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার
শেল অ্যান্ড কার্নেল লিমিটেড

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad

Responsive Ads Here