যে ৫ ভাবে মিউজিক আমাদের ব্রেইন ভাল রাখে
স্ট্রেসের মোকাবিলা করতে, অবসাদ কাটাতে মিউজিক থেরাপির গুরুত্ব ক্রমশই বাড়ছে। কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি মিউজিক থেরাপিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন মনোবিদরা। শুধু বড়দের নয়, ছোটদেরও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে মিউজিক থেরাপি। জেনে নিন কী ভাবে কাজ করে এই থেরাপি।
মনসংযোগ
মস্তিষ্কে নিউরন থাকে। যা সিন্যাপসিসের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। যে কোনও তথ্য মস্তিষ্কে ইলেকট্রিক্যাল ইমপালসে পরিণত হয়ে সিন্যাপসিসের মাধ্যমে বাহিত হয়। আমরা তথ্যের উপক যত মনোযোগ দিই, ইমপালস তত শক্তিশালী হয় ও নিউরোনের মধ্যে যোগাযোগ তত জোরালো হয়। গান শোনার সময় মস্তিষ্কে আলফা ও থিটা তরঙ্গ উত্পন্ন হয়। যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। থিটা তরঙ্গ মস্তিষ্ককে শান্ত ও রিল্যাক্স করে। যা মনসংযোগ করতে সাহায্য করে।
দীর্ঘকালীন স্মৃতি
মিউজিক দীর্ঘকালীন স্মৃতি বাড়াতে সাহায্য করে। সিন্যাপসিস যত শক্তিশালী হবে স্মৃতিশক্তি ততই বাড়বে। স্ট্রেস বাড়লে তা স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। পড়াশোনা, কাজ, যে কোনও বিষয়ের স্ট্রেস সিন্যাপসিসকে দুর্বল করে দেয়। স্ট্রেস শরীরের ফিল গুড হরমোন ডোপেমাইন ও সিরোটোনিনের মাত্রাও কমিয়ে দেয়। ফলে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যায়। মিউজিক শুনলে ফিল গুড হরমোন বাড়ে। যা স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করে। সিন্যাপসিস শক্তিশালী করে দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
কর্টিসল
স্ট্রেস শুধু দীর্ঘকালীন স্মৃতিশক্তির উপরই প্রভাব ফেলে না, নতুন স্মৃতি ধরে রাখতেও বাধা দেয়। মস্তিষ্কে কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) উত্পন্ন করে কার্যকারিতায় বাধা দেয়। মিউজিক কর্টিসলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে মাথা যেমন হালকা হয়, তেমনই তথ্য বোঝার ও বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও বাড়ে।
ভাবনা-চিন্তার স্বচ্ছতা
মিউজিকের ছন্দ-তাল কোনও কিছুতে মনোনিবেশ করতে ও ভাবনা-চিন্তা গুছিয়ে নিতে সাহায্য করে। গবেষকরা দেখিয়েছেন আমাদের মস্তিষ্ক ছন্দে চলে। গানের ছন্দ, বিশেষ করে যেই গান কোনও স্মৃতি জাগিয়ে তোলে তা গুছিয়ে ভাবনা-চিন্তা ও পড়াশোনা করতে সাহায্য করে। কোনও মিউজিক্যাল বাদ্যযন্ত্র শোনা ও বাজানোও মস্তিষ্কে একই প্রভাব ফেলে।
জ্ঞান
মোজার্ট এফেক্টের উপর বেশ করা বেশ কিছু গবেষণার ফলে গবেষকরা দেখিয়েছেন বেশ কিছু কাজ করার আগে বা সমস্যা সমাধানের আগে মোজার্ট শুনলে সেই কাজ আরও নিপুণ ভাবে করার, সূক্ষ্ণ ভাবে ভাবার ক্ষমতা বাড়ে।
No comments:
Post a Comment