টার্কিশ মুভি "Mucize" রিভিউ
টার্কিশ মুভি আগে কখনো দেখা হয়নি।মুভি সাধারণত বেশি দেখা হয় না।দেখলেও বেছে বেছে দেখি।বছরে ৫-৭ টার বেশি দেখা হয় না।এই মুভিটা দেখে আসলেই অভিভূত হলাম। Wonderful! Wonderful!! Wonderful!!!
ছবির প্রেক্ষাপট ১৯৬০ এর সময়।বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। সরকারি স্কুল শিক্ষক মাহির ইলমাজ শহরের একটি স্কুলে পড়াতেন।হঠাৎ উনার ট্রান্সফার হয়ে যায় এক দুর্গম গ্রাম্য এলাকায়।ছবির মত সুন্দর সেই গ্রাম।কিন্তু রাস্তা,ঘাট,বিদ্যুৎ এবং আধুনিক সুযোগ সুবিধা কিছুই নেই ওখানে।স্ত্রীর সাথে অনেক বিতর্কের পর অবশেষে উনি উনার দায়িত্ব পালনে পারি জমান সেই পর্বত ঘেরা কল্পনার মত সুন্দর সেই গ্রামটিতে।
সেখানে গিয়ে উনি সম্মুখীন হলেন বিচিত্র অভিজ্ঞতার।গ্রামে সরকার শিক্ষক পাটালেও সেখানে কোনো স্কুল নেই।গ্রামের মানুষ গুলো খুবই সহজ সরল।অবশেষে মাহির ইলমাজ নিজের অর্থায়নেই সেখানে স্কুল তৈরি করেন।এবং আন্তরিকতার সাথে পড়ানো শুরু করেন।
ছবির প্রধান চরিত্র আজিজ দাসবুত গ্রামের মাতব্বরের ৬ ছেলের একজন।সে প্রতিবন্ধী।ত্রিশ বছরের যুবক হওয়া সত্ত্বেও তার বিয়ে হয় না।তার ছোট ভাইদেরও বিয়ে হয়ে যায়।স্কুল শিক্ষক মাহির শুরু করেন আজিজ কে পড়ানো এবং তাকে সুস্থ করার কাজ।
ঘটনাক্রমে আজিজের বিয়ে হয় ঐ এলাকার সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে মিজগিনের সাথে।এলাকার সবাই তাদেরকে নিয়ে ঠাট্টা করে।এতে একদিন আজিজ ক্ষুব্ধা হয়ে স্ত্রিকে নিয়ে চলে যায় দূরের কোনো শহরে।এর কিছুদিন পর শিক্ষক মাহিরেরও বদলি হয়ে যায় অন্য জায়গায়।
মুভির সবচেয়ে বড় ক্লাইম্যাক্স টা আসে একদম শেষের দিকে।৭ বছর পরে সেই দুর্গম গ্রামে যেখানে একসময় রাস্তাঘাট ছিল না, সেখানে গাড়িতে করে আসেন মাহির ইলমাজ এবং উনার স্ত্রী। সাথে সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিয়ে আসেন আজিজকে।আজিজ এখন বেশ সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ। সে এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তানের জনক।সবাই এই আজিজকে দেখে বাকরোদ্ধ হয়ে যায়।
ভালবাসা কি জিনিস এই ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন।একজন শিক্ষকের তার ছাত্রদের প্রতি ভালবাসা,ভাইয়েভাইয়ে ভালবাসা,বোবা প্রাণীর প্রতি তার মালিকের ভালবাসা, প্রতিবন্ধী স্বামীর প্রতি তার স্ত্রীর ভালবাসা, এই সবকিছুই পাবেন এই মুভিতে।অভিনয়,লুকেশন, সংলাপ সবকিছুই অসাধারণ।
দেখবার চেষ্টা করবেন।
আমার রেটিংঃ ৯.৫/১০লিখেছেনঃ মানন চৌধুরী
No comments:
Post a Comment