আবেদনের যোগ্যতা
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে ন্যূনতম এইচএসসি বা স্নাতক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবেদনকারীকে অবশ্যই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রার্থীদের বয়স হতে হয় ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তবে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে ৩২ বছর প্রযোজ্য। বয়স নিরূপণের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হয় না।
পরীক্ষা পদ্ধতি
লিখিত পরীক্ষায় মোট নম্বর থাকবে ১০০। পুরো পরীক্ষাই নেওয়া হয় এমসিকিউ বা নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে।
- বাংলা, ইংরেজি, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, প্রায়োগিক গণিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।
- লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে অংশ নিতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ভাইভায়।
- স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্ট ও ভাইভায় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরকে ৫০ নম্বরের অনুপাত ধরে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
- মান বণ্টন করা হয় বাংলা ২৫, ইংরেজি ২৫, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ২৫, প্রায়োগিক গণিত ২৫ নম্বর। মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই সব প্রশ্ন করা হবে।
পরীক্ষায় ভালো করতে হলে
পরীক্ষায় ভালো করতে হলে বিগত বছরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সব ধরনের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখতে হবে। বানানে দক্ষতা থাকতে হবে। একাধিক বাংলা বানানের ওপর প্রশ্ন থাকতে পারে। এ ছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। জানতে হবে উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্ম। শব্দ, পদ, প্রকৃতি-প্রত্যয় পড়তে হবে। নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বইয়ের সব অধ্যায়ের পাঠ এবং উদাহরণ শিখতে পারলে ভালো হয়। আসতে পারে বিপরীত শব্দ। কারক-বিভক্তি থাকে। সমাস সম্পর্কেও ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ইংরেজি
ইংরেজি ভালো করতে হলে ইংরেজি স্পেলিং বা বানান সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। বানানের ওপর একাধিক প্রশ্ন করা হতে পারে। ইংরেজি বানানের জন্য বাজার থেকে ভালো বানানের বই কিনে নিতে পারেন। এ ছাড়া পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বই পড়লেই চলে।
পড়তে হবে Parts of Speech, Tense, Voice, Right forms of verb, Spelling, Antonym, Synonym. এর মধ্যে বেশি প্রশ্ন আসে Spelling থেকে। Right forms of verb, Antonym এবং Synonym থেকেও বেশ প্রশ্ন আসে। অনুশীলনের জন্য বিভিন্ন জব সল্যুশন, ভালো মানের গ্রামার বই পড়তে হবে।
গণিত
প্রায়োগিক গণিতের ওপরই বেশি প্রশ্ন হবে। ঐকিক নিয়ম, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, ধারাপাত ও বীজগণিতের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির কিছু অঙ্ক বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। বিগত বছরগুলোর প্রশ্ন সমাধান করলে কাজে দেবে। যেহেতু এমসিকিউ প্রশ্ন হবে, সেক্ষেত্রে গণিতের সমাধান দ্রুত করার দক্ষতা থাকতে হবে।
দৈনন্দিন বিজ্ঞান
এই পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে কম্পিউটার প্রযুক্তির ওপর। এ ক্ষেত্রে বলিভিয়ার রাজধানীর চেয়ে কিন্তু অ্যাপস কী এই প্রশ্নই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অংশে দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়া সম্পর্কিত প্রশ্ন বেশি দেখা যায়। এসবের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানের বই পড়তে হবে। সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অংশের প্রস্তুতির জন্য "কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স" পড়তে পারেন।
স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্ট
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আপনাকে এই পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্টে উত্তীর্ণ হতে টাইপিং গতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় প্রকার টাইপিংয়ে গতি থাকতে হবে। নির্ভুল বানান, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের কিছু জ্ঞান এবং প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান থাকলেই খুব সহজ হয়ে যাবে এই ধাপটি।
No comments:
Post a Comment