একজন সুবিধাবাদী ইংরেজ, প্রেমে পড়া এক নির্যাতিত যুবতী আর এক যুবক যে কিনা “উভয়শঙ্কটে” আঁটকে গিয়েছে। এই তিনজনকে নিয়েই কাহিনী। সাথে উঠে এসেছে সমসাময়িক রাজনীতি, অন্ধ বিশ্বাস, নারী নির্যাতন সহ আরো অনেক কিছু…
মুভির কথায় আসা যাক… ১৯৩৭ সালের ইন্ডিয়ার কেরেলা অঞ্চলের কাহিনী। পুরা ভারত তখন “ভারতছাড়” আন্দোলনে কম্পিত। কিন্তু কেরেলাতে সেই বিদ্রোহের ছোঁয়া তখনো পূর্ণতা লাভ করে নি। তো T.K নামের এক শিক্ষিত যুবক কাজ করতো এক ব্রিটিশ ফোরম্যানের অধীনে। তারা জংগলের মধ্য দিয়ে একটা রোড করার কাজে নিয়োজিত যা বর্ষা আসার আগেই শেষ করতে হবে। তো সেই ব্রিটিশ, নাম- Henry এর ঘরের কাজ করতো “সাজানি”। হেনরির বউয়ের অনুপস্থিতিতে সাজানি আর হেনরির মধ্যে এক অন্ধ ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। দুজনই জানতো তাঁদের এই প্রেমের ভবিষ্যৎ নেই তাও হেনরির আশায় সাজানি নিজেকে সম্পূর্ণ সঁপে দেই হেনরির কাছে। কিছুদিন পরই হেনরির বউ বিলেত থেকে ফিরে আসে তাঁর কাছে। আর শুরু হয় এক করুন কাহিনির…
মুভিটি সংক্ষেপে বললে এমন হবে- একটি ভালোবাসা, একটি বন্ধুত্ব, একটি মৃত্যু, আর একটা বিদ্রোহ…
মুভিতে মূলত চারটি চরিত্রই আছে-
- T.K এর চরিত্রে রাহুল বোস! তাঁর অভিনয় নিয়ে নতুন কিছুই বলার নাই। T.K এর চরিত্রে তাঁর নীরব ভূমিকা আর শেষে মূল ভূমিকায় উঠে আসা অসাধারণ লেগেছে। একদিকে নিজের জাতি অন্যদিকে বন্ধু… দুদিকের মানসিক চাপে এক যুবকের চরিত্র ভালো করেই ফুটিয়ে তুলেছেন।
- হেনরির চরিত্রে Linus Roache এর অভিনয় ভালো লেগেছে। সুবিধাভোগী চরিত্রতে ভালোই করেছেন।
- এই মুভিতে সেরা পারফর্মেন্স হলো নন্দিতা দাসের। সাজানি চরিত্রটির ব্যপ্তি যদিও যতটুকু আশা করেছি তাঁর থেকে ছোট তবুও তাতে অনবদ্য ছিলেন তিনি।
- হেনরির স্ত্রীর চরিত্রে Jennifer Ehle শেষে এসে বাজিমাত করেছেন। ভালো লেগেছে।
এবার ডিরেক্টরের কথা বলি। Santosh Sivan যদিও লেন্সের পিছনে বেশি কাজ করেন। সিনেমাটোগ্রাপারে বেশি উজ্জ্বল এই মানুষটি ডিরেকশনেও ভালো করেছেন। তবে মুভির সিনেমাটোগ্রাপি বেশি অস্থির।
- আর মিউজিক কম্পোজার হিসেবে ছিলেন MARK KILLIAN। যিনি অস্কার জয়ী Tsotsi মুভিটারও কম্পোজার ছিলেন। অনেক ভালো কাজ করেছেন।
- মুভিটি WorldFest Housten এ সেরা ছবির পুরস্কার জিতে নেয়। IMDb তে মুভির রেটিং ৬.৭!