ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম-কানুন - ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

সর্বশেষ পোস্ট

ইনফোক্রাঞ্চ - ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

ছড়িয়ে পড়ুক নতুন কিছু জানার আগ্রহ

test banner

Post Top Ad

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Thursday, January 4, 2018

ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম-কানুন

ডিসেম্বর মানেই শীতের আনাগোনা। বিকেল হলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। শীতের হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করে। এছাড়া আমাদের দেশে শীতের আগমন টের পাওয়ার আরেকটি প্রচলিত চিত্র হচ্ছে সন্ধ্যারাতে ব্যাডমিন্টন খেলা।

গ্রামগঞ্জে বাড়ির আঙিনায়, শহরের আনাচে কানাচে ফাঁকা জায়গায় ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট দেখলেই বোঝা যায় শীত চলে এসেছে।

প্রতিবছর এই সময়টাতেই ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট তৈরির হিড়িক পড়ে যায় পুরো দেশজুড়ে। পাড়ার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন এই খেলার কোর্ট কাটতে। চলুন জেনে নেয়া যাক ব্যাডমিন্টন খেলার সঠিক নিয়মকানুন।


ব্যাডমিন্টনের কোর্ট: 

ব্যাডমিন্টনের কোর্ট সমতল আয়তাকৃতির হয়ে থাকে। একক ও দ্বৈত উভয় ক্ষেত্রে যার দৈর্ঘ্য ১৩.৪ মিটার (৪৪ ফুট)। প্রস্থের মাপ বাড়ে দ্বৈতের ক্ষেত্রে। দ্বৈতের জন্য কোর্টের প্রস্থ ৬.১ মিটার (২০ ফুট), এককে ৫.১৮ মিটার (১৭ ফুট)। নেটের উচ্চতা ১.৫৫ মিটার (পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি)।


র‌্যাকেট/ব্যাট : 

BWF (Badminton World Federation) কর্তৃক নির্ধারিত কিছু মাপ রয়েছে যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এই মাপ অনুযায়ী বিভিন্ন র‌্যাকেট প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান বণিজ্যিকভাবে র‌্যাকেট উৎপাদন করে থাকে।

একটি র‌্যাকেটের দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ৬৮ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা, এবং প্রস্থ ২৩ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা। জাল বোনা মাথার দৈর্ঘ্য সর্বাধিক ২৮ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা এবং জাল বোনা মাথার প্রস্থ সর্বাধিক ২২ সেঃমিঃ চেয়ে বেশি হবেনা। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে আধুনিক র‌্যাকেটসমূহের মাপ সর্বোচ্চ মাপের তুলনায় কিছুটা ছোট হয়।

শাটল (কর্ক): 

শাটলটির ওজন ৪.৭৪ গ্রামের কম অথবা ৫.৫০ গ্রামের বেশি হবে না। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৬টি পালক থাকবে। খেলোয়াড়: একক ম্যাচে উভয়পক্ষে ১ জন করে সর্বমোট ২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। দ্বৈত খেলায় উভয়পক্ষে ২ জন করে সর্বমোট ৪ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে।

খেলার নিয়ম ও পয়েন্ট: 

একক ও দ্বৈত উভয় খেলায় সাধারণত ১৫ থেকে ২১ পয়েন্টে গেম হয়। উভয় খেলোয়াড় বা দল ২০-২০ পয়েন্ট অর্জন করলে সেক্ষেত্রে ২ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে জয়লাভ করতে হবে, অর্থাৎ ২২-২০, ২৫-২৩ ইত্যাদি।

উভয় দলের পয়েন্ট সমান হওয়াকে ডিউস বলে। মনে রাখতে হবে, এভাবে সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্টের মধ্যে অবশ্যই গেম শেষ করতে হবে। তিনটি গেমের মধ্যে যে বা যে দল দুই খেলায় জিতবে, তারাই বিজয়ী হবে।

একক খেলার সময় সার্ভিসকারীর পয়েন্ট শূন্য বা জোড় সংখ্যা হলে খেলোয়াড় তাদের ডান দিকের কোর্ট থেকে সার্ভিস করবে এবং বেজোড় সংখ্যা হলে বাম দিকের কোর্ট থেকে সার্ভিস করবে। প্রতি পয়েন্টের পর খেলোয়াড়রা তাদের সার্ভিস বা রিসিভ কোর্ট বদল করবে।

দ্বৈত খেলার সময় প্রথম সার্ভিসের জন্য ডানদিকের খেলোয়াড় কোনাকুনি বিপক্ষের কোর্টে সার্ভিস করবে। যাকে সার্ভিস করা হবে কেবল সেই খেলোয়াড় সার্ভিস গ্রহণ করবে। কোনো খেলোয়াড় পরপর দুইবার সার্ভিস করতে পারবে না। প্রথম গেমে বিজয়ী খেলোয়াড় দ্বিতীয় গেমে সার্ভিস শুরু করবে।

সার্ভিসের সময় সার্ভারের দুই পা মাটি স্পর্শ করে থাকবে। সার্ভিস করার সময় শাটল নেটে লেগেও যদি ঠিক কোর্টে পড়ে তবে সার্ভিস ঠিক হয়েছে বলে ধরা হবে। শাটল দাগ স্পর্শ করলেই শুদ্ধ হয়েছে বলে ধরা হবে।

নেট অতিক্রম করে কেউ শাটলে আঘাত করতে পারবে না এবং খেলা চলাকালে কেউ র‌্যাকেট বা শরীরের কোনো অংশ দিয়ে নেট ও পোস্ট স্পর্শ করতে পারবে না।

2 comments:

  1. <a href="https://edublogbd.com/%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8C> ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম </a>

    ReplyDelete

Post Top Ad

Responsive Ads Here